গোপনে যেনা করলে তিনটি বিপদ আসবেই

আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতেই যেনার শাস্তি বেত্রেঘাত ও পাথর নিক্ষেপ হত্যা নির্ধারণ করেছেন।এবং গুনাহর সাথে বেশকিছু বিধান আরোপ করেছে। যেমন : যেনাকারী তওবা না করা পর্যন্ত তাকে বিয়ে করতে দেওয়া হবে না। এ গুনাহর কারণে আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক কঠিন শাস্তি হুমকি দিয়েছেন।

হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সে শাস্তির কিছু বর্ণনা উল্লেখ করা হয়েছে → আল্লাহ তায়ালা জাহান্নামের একটি চুল্লীতে ব্যভিচারী নর নারীকে উলঙ্গ অবস্হায় একত্র করবেন। সেখানে জাহান্নামের আগুনে তাদেরকে পুরানো হবে।তাদের বিকট শব্দ শুনা যাবে। অতএব যে ব্যক্তি যেনা করতে চায় আমাদের কাছে তার জন্য অনুমতি নেই। আমাদের কাছে যেনার বৈধ মর্মে কোন ফতোয়া নেই।

আগেই বলেছি আপনার সাথে স্পষ্টবাদী হব। আপনি যেমন আমাদের কাছে স্পষ্টবাদী হয়েছেন।ধরুন আপনি যে কঠিন ও কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্যে আছেন আল্লাহ তায়ালা না করুন →আপনার বোন বা মা যদি সে অবস্থার পড়ে এবং আপনি যা করতে চাচ্ছেন তারাও তা করতে চায় তখন তাদের এই চাওয়ার ব্যাপারে আপনার মতামত কি হবে..?

 

যেনাকারীর লজ্জা থাকে না। যৌন পিপাসা মেটানোর নেশায় সে সাধারণ মানবিক লজ্জা হারিয়ে ফেলে। বৈধ অবৈধ মধ্যে আর কোন পার্থক্য থাকে না। এ বিষয়ে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন → যে ব্যক্তি যেনার লিপ্ত হয় তাকে অবশ্যই অবশ্যই দুনিয়াতে ভয়ংকর তিনটি শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তো সে তিনটি শাস্তি কি তা আমরা এখনই জেনে নিবো।

১= সে ব্যক্তি মহামারী রোগে আক্রান্ত হবে। যেমন তার ডায়রিয়া হবে অথবা কলেরা হবে এবং ঐ রোগ থেকে সে আরোগ্য লাভ করতে পারবেনা। যার চুড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে ঐ রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হবে। এবং সে মৃত্যুর সময় কঠিন কষ্ট ও যন্ত্রণা পাবে।

২= যে ব্যক্তি যেনা করবে তার শরীরে আল্লাহ তায়ালা এমন একটি রোগ দিয়ে দিবেন যা তার বংশের মধ্যে কারো নেই। এমন একটি রোগ তাকে ধীরে ধীরে আক্রান্ত করে ফেলবে। যে রোগের চিকিৎসা কোন ডাক্তার দিতে পারবেনা।

৩= যে ব্যক্তি যেনা করবে তার দারিদ্র দেখা দিবে।। অভাব দেখা দিবে কঠিন অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়বে। হাদিসের শেষাংশে বলা হয়েছে জীবন শেষ পর্যারে তার এমন পরিণতি হবে যে তাকে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষার জন্য খুজতে হবে। যেনাকারীর সর্বশেষ শাস্তি হচ্ছে অতি দারিদ্র্যতা।

তো ভাই সর্বশেষ আপনার উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলতে চাই। আপনি মোটেই ধৈর্য হারাবেন না বরং আপনার ভুল এবং ত্রটিগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।

 

আল্লাহ তায়ালা ওয়াদা দিয়েছেন। তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ তায়ালা দ্রুততার সাথে কবুল করে নেন এবং তাদের মাকসুদ পুরন করেন।

১= মজলুমের দোয়া

২= পিতা মাতার দোয়া তার সন্তানের জন্য

৩= কোন অবিবাহিত যুবক যখন অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার জন্য আল্লাহ তায়ালা কাছে দোয়া করেন।আল্লাহ তায়ালা তার অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা দান করেন এবং বিবাহ উপযুক্ত করে দেন।

তো ভাই আপনার জন্য আমার দোয়া রইলো। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে যেন তার রহমতে চাদর ধারা ডেকে নন।